মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: “বেশী বেশী মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দুই করি” এই শ্লোগান নিয়ে জাতীয় মৎস্য সাপ্তাহ উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সংবাদকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মৎস্য সাপ্তাহ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য সচিব সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারাজুল কবির এর সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণ। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩.৪১ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্ত উৎপাদন হয়েছে ৪৩.৮৪ লক্ষ মেট্রিক টন, অথাৎ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ অতিরিক্ত উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়াও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায় অভ্যন্তরিণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশে^ ৩য় স্থান ধরে রেখে বিগত ১০ বছরে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদান বৃদ্ধিতে ২য় স্থানে উন্নীত এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ স্থান গত ৬ বছর ধরে রেখেছে। পাশা পাশি বিশ্ েসামুদ্রিক ও উপকুলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম, ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে।
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে ১ নম্বর ও তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশে^ ৪র্থ এবং এশিয়ার মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মোট মাছের চাহিদা ৭হাজার ৫শ ৪৫ মেট্রিক টন, যা উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ২শ ৯৬ মেট্রিক টন। চাহিদারে ছেয়ে উদ্ধৃত হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৫১ মেট্রিক টন। সভায় মৎস্য বিভাগ স্থানীয় ভাবে মৎস্য উন্নয়নে এবং উৎপাদনে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চেয়েছেন। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকরা শ্রীমঙ্গলসহ জেলার মৎস্য ভান্ডার খ্যাত হাইল হাওর ও বাইক্কা বিলের অবৈধ্য দখদারদের উচ্ছেদ, মা মাছসহ জলজ প্রাণী রক্ষা, বিল ও বিভিন্ন নদী ও ছড়া খনন এবং প্রাণিপ্রবাহ সৃস্টি করা ও অপরিকল্পিত ফিসারী বন্ধসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতি ও জাতীয় মৎস্য সাপ্তাহ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এই মৎস্য সাপ্তাহে দৃর্শমান কিছু অগ্রগতি দেখতে চান। শ্রীমঙ্গলের মৎস্য ভান্ডার খ্যাত হাইল হাওর ও বাইক্কা বিলের অবৈধ দখদারদের উচ্ছেদের ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং উদ্ধার করা জমি যাতে আবারও অপদখল না হয় এব্যাপারে প্রদক্ষেপ নিবেন। এছাড়াও নতুন কিছু কারার ব্যাপারের চিন্তা ভাবনা করবেন।
মতবিনিময় সভায় মৎস্য বিভাগের সম্প্রসার কর্মকর্তা মো: লিপন মিয়া, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ^জ্যোতি চৌধুরীসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।